হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রঃ) বাংলাদেশে ১০৫৩ ইং সনে ১২০ জন সফর সঙ্গীসহ ইসলাম প্রচারে আসেন। ঐতিহাসিকদের মতে এটিই ইসলাম প্রচারে আগত প্রথম মিশন। তিনি উপমহাদেশের বহু অঞ্চল অতিক্রম করে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া হয়ে পরিশেষে নেত্রকোণা থানার মদনপুরে আসেন। তখন বাংলায় চলছিল বৌদ্ধ ও সনাতন হিন্দুদের সংঘর্ষ। আবার হিন্দুদের বর্ণপ্রথাতেও ক্ষতবিক্ষত ছিল লোক সমাজ। এই জটিল মূহুর্তে ইসলামের সুফিবাদের বাণী আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় গোটা সমাজকে। তাই তিনি উদার-উদাস প্রকৃতির বিচিত্র প্রাকৃতিক শোভার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন ইসলামের বাণী, শান্তির চেতনা। সে চেতনার সারমর্ম ছিল মানবপ্রেমের রসসিক্ত সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ। এ কালজয়ী পুরুষের সমাধিস্থলে আজ জড়ো হয় লাখ লাখ মানুষ। ফলে এ মাজারটি পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। মাজারটির অবস্থান নেত্রকোণা-কেন্দুয়া সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে মদনপুর নামক গ্রামে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস